কাল থেকে দেশে থ্রিজি মোবাইল সেবা
আগামীকাল
রবিবার রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে বাংলাদেশ
থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্ম) প্রযুক্তিতে পা রাখতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বঙ্গবন্ধু সম্মেলনকেন্দ্র থেকে এই সেবার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে
কথা বলে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। পরদিন সোমবার থেকে এর সিম বিক্রি
শুরু হবে। এদিনই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর সংযোগ ফি ও সেবার চার্জ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।
তবে গ্রাহকরা থ্রিজি সিম
কিনলেও তা ব্যবহার করতে পারবে আরো কয়েক দিন পর। বিটিআরসির সাম্প্রতিক
নির্দেশনা অনুসারে, সিম বিক্রির পর ৭২ ঘণ্টা সময়েরমধ্যে গ্রাহকের
পরিচয়পত্রের সত্যতা যাচাইশেষ হওয়ার পরই তা চালু করাহবে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান গতরাতে কালের কণ্ঠকে জানান,প্রথমে ঢাকা নগরী, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার ও
নারায়ণগঞ্জ এলাকায় এই সেবা চালু করা হবে।
রাজধানীতে
টেলিটকের তিন হাজার রিটেলার পয়েন্ট ও আটটি কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে সিম
বিক্রি হবে। পরে চট্টগ্রাম, কঙ্বাজার ও সিলেট এবং পর্যায়ক্রমে দেশের
অন্যান্য এলাকায় এ সেবা চালু হবে।
থ্রিজি সেবার মাধ্যমে আমরা নতুন
কী পেতে যাচ্ছি? এ প্রশ্নে মুজিবুর রহমান বলেন, এ সেবা পেতে অবশ্য একটি
স্মার্ট ফোনসেট লাগবে। এর মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ছাড়াও টিভি দেখার
সুযোগ থাকবে। প্রথম পর্যায়ে বিটিভিসহ পাঁচটি টেলিভিশন চ্যানেল এতে দেখা
যাবে। পরে অন্যান্য টিভি চ্যানেলও দেখা যাবে। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি
টেলিভিশনগুলোর মধ্যে জিটিভি, আরটিভি, সময়এবং মাইটিভি দেখা যাবে।
ধারণা
করা হচ্ছে, থ্রিজিতে গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করবে ভিডিও কল। এতে
মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় দুই পক্ষেরই ছবি দেখা যাবে। পরস্পরের অবস্থানও
জানা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির এই সেবার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত
হবে। অফিসে বসেই কোনো একটি স্থানে কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করা যাবে। শহরের
সব সড়কের গাড়ির গতিবিধি দেখে ট্রাফিক বিভাগ অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট
নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
এদিকে দেশে এই থ্রিজি মোবাইল সেবা চালু হচ্ছে
কোনোরকম নীতিমালা ছাড়াই। এ জন্য এই সেবা আপাতত পরীক্ষামূলকই থাকছে।
আগামীবছর বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের থ্রিজি লাইসেন্স দেওয়ার আগে নীতিমালা
চূড়ান্ত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, টেলিযোগাযোগ খাতে থ্রিজি (তৃতীয়
প্রজন্ম) প্রযুক্তি চালু ও বর্তমান ২.৫-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ শীর্ষক
প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত বছরের ৯ জুন চীনের এঙ্মি ব্যাংকের সঙ্গে
বাংলাদেশ সরকারের ২১ কোটি ১০ লাখ ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তি
অনুসারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এ
প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।